কিন্তু তারা ঠিকই আমাকে আপনাকে মন থেকে বন্ধু বলে গ্রহণ করে নেয় । সেজন্য আমি আপনি যদি কোন বিপদে পড়েছি বলে তাদের মনে হয় তারা তাদের কথা চিন্তা না করে স্বার্থবাজি না করে ছুটে আসে বন্ধুকে বাঁচানোর জন্য বিপদ থেকে বন্ধু কে উদ্ধার করার জন্য । আমাদের এই সমাজ বর্তমান এমন একটি জায়গায় এসে পৌঁছেছে যে আমরা মানুষের ন্যূনতম সম্মানটুকু মানুষকে দিতে পারি না ।
আমরা ভুলে যাই একটু জীবনে উন্নতি করলে, একটু অর্থ সম্পদের মালিক হলে, কে আমার বন্ধু ছিল, কে আমার আত্মীয়-স্বজন ছিল, আমি তাদের কথা বলছি যারা একটু নিম্ন আয়ের হয়ে থাকে তাদের নিম্ন আয় কে দোষী করে আমরা সেই সকল মানুষদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাই না, এমনকি পরিচয় দিতেও দ্বিধাবোধ করি এই সমাজের কাছে ।
হ্যাঁ আর এটাই আমাদের সমাজ, কিন্তু দিন শেষে দেখা যায় আপনি যে বন্ধুর কখনো হেল্প আশা করেননি যার আশা করেছিলেন তার থেকে কোন সাহায্য আপনি না পেলেও আপনি যার থেকে কোন সাহায্য আসা করেননি সে কিন্তু আপনাকে ঠিকই আপনার বিপদে সাহায্য করে গেছে আর সেটাই আসল বন্ধুত্ব ।
তাই আসুন আমরা আমাদের বন্ধুত্ব হোক কিংবা আত্মীয় হোক সবার সঙ্গে সম্পর্কটা ঠিক রেখে সমাজে বসবাস করার চেষ্টা করি, কারণ আপনার কাকে কখন প্রয়োজন হবে আপনি যেমন জানেন না, তেমনি আপনার তাকে কখন প্রয়োজন হবে সেও জানে না, তাই আমরা বন্ধুত্ব ও আত্মীর সম্পর্ককে অর্থ সম্পদের সঙ্গে গুলিয়ে না ফেলি বন্ধুকে বন্ধু আত্মীয়কে আত্মীয় ভেবে আজীবন সঙ্গী করে রাখি তাহলেই জীবন সার্থক হয়ে উঠবে ।
বর্তমান সমাজে আমরা এমন কিছু লক্ষ্য করে থাকি চেনা নাই জানা নাই , অফিসের মাধ্যমে চাকরি থেকেই পরিচয় কিন্তু দেখা যায় তাদের বাসায় যাওয়া খাওয়া তারা আপনার বাসায় এসে খাওয়া এ যেন ছোট্টকালের সেই বন্ধুদের থেকে বেশি গভীরতা বন্ধুত্বে , কিন্তু আপনি কি একবারও চিন্তা করে দেখেছেন? এই বন্ধুত্ব কতক্ষণের জন্য এই বন্ধুত্ব আপনাকে কি দিবে হয়তো আপনাকে একটা promotion ই দিতে পারে তার বেশি কিছু নয় , কারণ অফিসের চাকরি এমন একটা চাকরি আজ এক অফিসে আরেক দিন আরেক অফিসে এমন একটা বিষয় হয়ে দাঁড়াবে একদিন যেদিন সেই বন্ধুত্ব আর টিকবে না সে চলে যাবে অন্য জেলায় আপনি রয়ে যাবেন আর এক জেলায় তখন আর আপনার ও তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ইচ্ছে হবে না , তারও আপনার সাথে যোগাযোগ রাখতে ইচ্ছে হবে না, কারণ আপনারা চাকরির ক্ষেত্রে বন্ধু ছিলেন স্বার্থবাজির জন্য বন্ধু ছিলেন , এখন কেউ কারো দরকার নেই তাই কেউ কারও খবর রাখবেনা সেটাই বাস্তব ।
কিন্তু
আপনি একটু চিন্তা করে দেখেন তো আপনার সেই ছোট্টবেলার বন্ধুগুলো কেমন ছিল আর এখনো বা কেমন আছে , আপনি ধরুন ঢাকায় বিরাট একটা অফিসে চাকরি করেন, ভালো বেতন পান, আবার আপনার বন্ধুই গ্রামে থাকে কৃষি কাজ করে দিনমজুর করে দিন এনে দিন খেয়ে ভালো থাকার মিথ্যা অভিনয় করে , যদি সেই কৃষক বন্ধু শুনতে পারে অমুক তারিখে আমার বন্ধু বাড়ি আসছে তখন তার excitement টা কেমন হয় আপনি জানেন? সে হতাশ হয়ে থাকে কখন আমার বন্ধুর সঙ্গে দেখা হবে , কখন তাকে নিয়ে আমি আমার পুরো গ্রামটা ঘুরতে পারবো, কখন আমি তার সাথে মনের ভিতর গাথা কল্পনার কথাগুলো শেয়ার করতে পারব , এই ভাবতে ভাবতেই সেই কৃষক বন্ধু আপনার কথা চিন্তা করতে থাকে, আর আপনার মত বন্ধু যখন বাড়ি আসে আর যতদিন থাকে ততদিন কিন্তু সেই বন্ধু কাজ কাম বাদ দিয়ে আপনার পিছু পিছু ঘুরে বেড়ায় , আপনি হয়তো মনে করবেন আপনার কাছ থেকে কিছু পাওয়ার আশায় কিন্তু না আপনি যে তার সঙ্গে বাল্যকাল থেকে চলে আসছেন মিশে আসছেন এটা তার অন্তরে আপনার জন্য নিজের মানুষের মতই ভালোবাসা তৈরি হয়েছে তার কারণেই সে দিনমজুর হওয়া সত্ত্বেও বিনা স্বার্থে আপনার পিছনে ঘুরে বেড়ায় ।
আপনি দেখান তো সেই ঢাকার সেই বন্ধুগুলোকে এনে তারা আপনার গ্রামে আপনার সাথে কি রকম ব্যবহার করে তাহলে আপনি আপনার উত্তর পাবেন যে... কে আপনাকে স্বার্থ ছাড়া বন্ধু মনে করে ।
আমার মতামত সেই গ্রামের বন্ধু গুলোই ছোট্টবেলার বন্ধু গুলোই আপনার লাইফের সেরা অবলম্বন হয়ে দাঁড়াবে
(সত্যিকারের বন্ধু ,তারা ছোট্টবেলার বন্ধু ছিল যারা)
আজীবন বেঁচে থাকুক সকল বন্ধুত্ব
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত গণমাধ্যম দৈনিক আলোকিত ৭১ সংবাদ
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.