প্রতিনিধি ৫ নভেম্বর ২০২৪ , ৮:০৫:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ মমিনুল ইসলাম মুন-বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি:
মালয়েশিয়ায় কৃষক-বিজ্ঞানী সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন রাজশাহীর তানোরের স্বশিক্ষিত কৃষিবিজ্ঞানী নূর মোহাম্মদ। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় তিনি ঢাকা থেকে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। মালয়েশিয়ার পেনাং শহরে ৬ থেকে ৮ নভেম্বর এই সম্মেলন হবে। মালয়েশিয়ার পেস্টিসাইড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিকের (প্যানাপ) আমন্ত্রণে সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন নূর মোহাম্মদ। বাংলাদেশ থেকে তিনিই একমাত্র কৃষক বিজ্ঞানী হিসেবে এ অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন।
স্বশিক্ষিত কৃষক-বিজ্ঞানী নূর মোহাম্মদের বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলার গোল্লাপাড়া মহল্লায়। তিনি দশম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। বরেন্দ্রভূমিতে খরায় ধান নষ্ট হতে দেখে গবেষণায় নেমে যান তিনি। নিজের বাড়িতেই চলতে থাকে গবেষণা। ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান হেলাল উদ্দিনের সহযোগিতা পান নূর মোহাম্মদ। হেলাল উদ্দিনের কাছ থেকে তিনি হাতে-কলমে এ সংক্রান্ত জ্ঞান অর্জন করেন।
এরপর একের পর এক নতুন জাতের ধানের কৌলিক সারি উদ্ভাবন করেন নূর মোহাম্মদ। এখন প্রতি মৌসুমেই তাঁর জমিতে পরীক্ষামূলক ধানের চাষ হয়। এ পর্যন্ত সংকরায়ণের পর নূর মোহাম্মদের কৌলিক সারির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০০। তাঁর কাজ আমলে নিয়েছেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরাও। ধানগুলো জাত হিসেবে স্বীকৃতির অপেক্ষায় রয়েছে।
মালয়েশিয়ার সম্মেলনে যেতে নূর মোহাম্মদকে সহযোগিতা করেছে গবেষণা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজিনাস নলেজ (বারসিক)। আয়োজকেরা নূর মোহাম্মদের যাতায়াত, থাকা-খাওয়াসহ সকল খরচ বহন করবে। আজ মঙ্গলবারই নূর মোহাম্মদের পেনাং শহরে পৌঁছানোর কথা। ১০ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি সেখানে অবস্থান করবেন। কৃষিতে সাফল্যের জন্য নূর মোহাম্মদ ২০০৫ সালে রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক পান। তিনি মনে করেন, তাঁর উদ্ভাবন করা পাঁচটি জাত স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য। এগুলো হলো, এনএমকেপি-১ থেকে এনএমকেপি-৫। এনএমকেপির অর্থ ‘নূর মোহাম্মদ কৃষি পরিষেবা’।