• আইন ও আদালত

    আদম ব্যবসায়ীর প্রতারণায় নিঃস্ব ফজলে করিমের পরিবার

      প্রতিনিধি ১১ অক্টোবর ২০২৪ , ১২:৩৩:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    এইচ.এম আল আমিন-স্টাফ রিপোর্টার:

    সহজ সরল লোকজনকে সৌদি আরবে ভালো ভিসা ও ভালো বেতনে চাকরি দেওয়ার কথা বলে গ্রামের লোকজনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে কিছু লোক সৌদি আরব পাঠায়।আবার কিছু লোকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সৌদি আরব না পাঠিয়ে নিজেদের নামে জমি ও ভবন ক্রয় করে এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায় আদম ব্যাবসায়ী(দালাল)। পরবর্তীতে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সৌদি নিয়ে কাজ না দিয়ে করেছেন প্রতারণা,এবং যাদেরকে নিতে পারেনি তাদের টাকা ফেরত দিবে বলে বার বার তারিখ দিয়েও করেন প্রতারণা।এমনি অভিযোগ উঠেছে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার,চর লরেন্স ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড কোম্পানির রাস্তার মাথার বাসিন্দা রইজল বেপারীর ছেলে নুরুল হকের বিরুদ্ধে।

    উক্ত অভিযোগ এনে একই ইউনিয়নের বাসিন্দা ফজলে করিম। প্রতারক নুরুল হকের বিরুদ্ধে রামগতি সেনা ক্যাম্প এ অভিযোগ দায়ের প্রস্তূতি চলছে বলে জানিয়েছেন ফজলে করিম। এই বিষয়ে এলাকার মানুষ ও সাক্ষীগণের মাধ্যমে জানা যায়, ভুক্তভোগী ফজলে করিম সৌদি আরবে হোটেলে চাকরি দেওয়ার কথা বলে পাঁচ লাখ টাকা বুঝে নেয়, প্রতারক নুরুল হক। টাকা পাওয়ার পর ৬ মাস তালবাহানা করে নুরুল হক পরে জানান সৌদিতে এই ভিসার না-কি একটু সমস্যা হলো এখন আর যাওয়া যাবেনা দুই তিন মাসের মধ্যে টাকা ফেরত দিয়ে দিবে। কিন্তু, হতদরিদ্র ফজলে করিমের আজ প্রায় সাড়ে তিন বছরে একটি টাকাও না পেয়ে করুন কান্না ভেঙে পড়েন।এবং মানবেতর জীবন যাপন করছে বলেও জানান তার সন্তান রেদোয়ান হোসেন।

    ফজলে করিম গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, ‘আমার দুইটা দুধ দেওয়া গরু ছিল। সব কিছু বিক্রি করে, ঋণ করে নুরুল হক দালালকে টাকা দিছি। ৩/৪বছর হলো আমার ছেলে বিদেশে যাওয়া তো দুরের কথা আমার একটি টাকাও এখন পর্যন্ত পাইনি কবে দিবে তাও আমাকে বলেনা,এখন আমি ছেলে-মেয়েকে নিয়ে খুব কষ্টে দিন পার করছি। পাওনাদারদের তাগাদায় এখন বাড়িতে থাকাও কঠিন হয়ে গেছে। গত ০৩ অক্টোবর নুরুল হকের বাড়িতে গিয়ে আমার পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বললে নুরুল হক আমাকে ভয় হুমকী দেখিয়ে বাড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে।’

    এ বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মী নুরুল হকের নিজ বাড়িতে গিয়ে তাকে জিজ্ঞেসা করলে প্রথমে অশিকার করলেও পরে তিনি বলেন সৌদি আরবে অনেক টাকা মার খাওয়ার পরে ফজলে করিমের ছেলে রেদোয়ান হোসেন কে নেওয়া হয়নি,তবে কিছু টাকা দিচ্ছে বলে শিকার করেন। এই বিষয়ে কমলনগর থানা অফিসার ইনচার্জ বলেন,এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ