প্রতিনিধি ৪ ডিসেম্বর ২০২১ , ৬:২৮:১২ প্রিন্ট সংস্করণ
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির মৃধার নির্দেশে আদালতের স্থিতিবস্থার (Statusquo) নিশেধাঞ্জা অমান্য করে জমির রোপনকৃত পাকা ধান কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।যানাযায়, দেওয়ানি মোকদ্দমার বিবাদী সালাম হাওলাদার গং- এর বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী হলেন, মোঃ দলাই হাওলাদার।গত বুধবার (১’লা-ডিসেম্বর-২০২১ ইং) তারিখ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বাদুরা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।উক্ত অভিযোগে বলা হয়েছে, একই বাড়ির চাচাতো ভাই সালাম হাওলাদার গংদের সঙ্গে জমি জমার বিরোধ চলছে দির্ঘদিন ধরে।
আবু বকর গং এর সঙ্গে।এবিষয়ে আবু বকর গং বাদী হয়ে পটুয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি মোকদ্দমা দায়ের করেন, যার মোকদ্দমা নং-৬৯৭/২১ ইং। উক্ত মোকদ্দমায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবু বকর গং একটি আবেদন করেন এবং বিজ্ঞ আদালত মোকদ্দমাকৃত জমিতে স্থিতিবস্থার (Statusquo) আদেশ প্রদান করেন।অভিযোগ সুত্রে আরও বলা হয়, আদালতে মোকদ্দমা চলমান ও স্থিতিবস্থার থাকা অবস্থায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির মৃধা উভয় পক্ষকে ডেকে নিয়ে বাদী পক্ষের সামনেই বিবাদী পক্ষকে জমির ধান কেটে নেয়ার নির্দেশ দেন।
এসময় বিবাদী আবু বকর গং আপত্তি জানালে কোন সমাধান পায়নি বলে জানান।পরে চেয়ারম্যানের নির্দেশ অনুযায়ী গত বুধবার ১’ডিসেম্বর বিবাদী সালাম হাওলাদার গং আদালতের স্থিতিবস্থার আদেশ অমান্য করে, সালাম হাওলাদার (৬০), আলামিন হাওলাদার (৩৮), আলাউদ্দিন হাওলাদার (৩৫), জালাল হাওলাদার (২৫), নাইম হাওলাদার (১৮), উভয় পিতাঃ সালাম হাওলাদার, নুর ইসলাম (৫০), পিতাঃ মৃত আব্বাস, চাঁন মিয়া (৬০), পিতাঃ মৃত আছমত আলী, সুজন হাওলাদার (২০),পিতাঃ আবুল হাওলাদার সহ ১৮ জন মিলে জমির সকল ধান দ্রুত কেটে নিয়ে যায়।
বাদী পক্ষ আবু বকর গং প্রতিবাদ জানাতে গেলে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও জীবন নাশের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে বিবাদী সালাম হাওলাদার গং। মোকদ্দমার বাদী পক্ষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তারা আইনের মাধ্যমে বিচার দাবি করেন।এব্যাপারে অভিযুক্ত মোকদ্দমার বিবাদী ও নিউজের আত্মপক্ষ সালাম হাওলাদার গং এর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, মামলায় কি হবে না হবে সেটা আদালতের ব্যাপার আমরা জমিতে ধান রোপন করেছি এবং চেয়ারম্যানের নির্দেশে আবার আমরা ধান কেটে এনেছি বলে জানান।
এব্যাপারে আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির মৃধার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আদালতের স্থিতিবস্থার (Statusquo) থাকলে জার জার স্থানে সে সে বহাল থাকবে। আমি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দুপক্ষকে ডেকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বলেছি। তিনি আরও বলেন, আদালতের স্থিতিবস্থার থাকলে যেহেতু দখলে যারা তারাই এই ধান প্রাপ্য হবে কিনা আমি ঠিক বলতে পারবো না। যদিও বিবাদিরা চাষাবাদ করছে দখলেও আছে সেহেতু ধান তারা প্রাপ্য হতে পারে।কিন্তুু আদালতের স্থিতিবস্থার আদেশ অমান্য করলে বাদী পক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারবে বলে জানান।
এবিষয়ে বিজ্ঞ আইনজীবীদের কথা মতে কোন মোকদ্দমায় আদালতের স্থিতিবস্থার (Statusquo) আদেশ থাকলে সেখানে কেহই এক তরফা আদেশ দিতে পারবে না। যদি বিবাদীরা চেয়ারম্যানের নির্দেশে জমির ধান কেটে নেয় তাহলে সেটা সম্পুর্ন আদালত অমান্য করা এবং গুরুত্বর অপরাধ।
ভুক্তভোগীর পরিবার প্রতিবাদ করায় প্রতিনিয়ত আতংকে দিনাতিপাত করছে। এমতাবস্থায় প্রধানমন্ত্রূী সহ ভুক্তভোগী উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের জোর হস্তক্ষেপের কামনা করেছেন।