প্রতিনিধি ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ , ১:২৬:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামে কর্মরত কুতুবদিয়া উপজেলার বাসিন্দা স্বাস্থ্যকর্মী ফারুক হোসাইনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজার সদর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড উত্তর ঢিক্কুলের বাসিন্দা ও শিক্ষানবিশ আইনজীবী মুজিবুল হকসহ আরও তিন মাদক সেবনকারীর বিরুদ্ধে। কুতুবদিয়ার তিন মাদক সেবনকারীদের সঙ্গে আঁতাত করে মূলত চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করছে মুজিবুল। জানা গেছে, প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করার নামে স্ত্রী কতৃক স্বাস্থকর্মী ফারুকের কাছ থেকে ১লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে শুরু হয় চাঁদাবাজি। পরে আরও বেশি টাকা খোয়ানোর লোভে হালিমা বেগমের সাবেক প্রেমিকা ফারুক হোসাইনকে মুজিবুল পুরে দেন মিথ্যে ধর্ষণ মামলা। মামলা প্রত্যাহার করতে মুজিবুল দাবি করে বসেন নগদ ১০ লাখ টাকা। এ সংক্রান্ত একটি অডিও কথপোকথনে শোনা যায়- টাকা দিতে অপারগ হলে ফারুক হোসাইনকে নানাভাবে হয়রানির করবেন বলে হুমকি দেন মুজিবুল।
তথ্যমতে, গত ২০২১ সালের পহেলা নভেম্বর তৎসময়ের কথিত প্রেমিকা মুজিবুল হকের ইন্দনে প্রতারণার আশ্রয় নেয়া তরুণী হালিমা বেগম স্বাস্থ্যকর্মী ফারুক হোসাইনের কাছ থেকে প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করার নামে গ্রাম আদালতে প্রাপ্তি স্বীকার মতে নগদ হাতিয়ে নেয় ১লক্ষ টাকা। পরে গত ২০২২ ইং সনের ২৫ মার্চ হালিমা বিয়ে করেন সে কথিত প্রেমিকা শিক্ষানবিশ আইনজীবী মুজিবুল হককে। এরপর ফারুক হোসাইনকে মিথ্যে মামলা পুরে দিতে হালিমা বেগম ও হালিমার পরিবারকে প্ররোচিত করে মুজিবুল। তার প্ররোচনায় হালিমা বাদি হয়ে ফারুকের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করেন।
অনুসন্ধানে গত বছরের ২২ এপ্রিল দায়েরকৃত মামলার নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মামলার নথি অনুযায়ী গত ২০২২ ইং সালের ২১ মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় হালিমাকে ধর্ষণ করে ফারুক হোসাইন। অথচ প্রযুক্তি সহায়তা নিয়ে দেখা যায় উল্লিখিত ধর্ষণের সময় ফারুক হোসাইনের উপস্থিতি ছিলো চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি এলাকার একটি ক্যাফেতে। সে সময় হালিমা বেগম চট্টগ্রামের চকবাজার কাপাসগোলাস্থ ভাড়া বাসায় অবস্থান করছিলেন। ধর্ষণের ঠিক ৭টার সময় হালিমার সঙ্গে ফারুক হোসাইনের মেসেনজার কনভারসেশনও হয়। কিন্তু মামলার নথিতে ধর্ষণের স্থান দেখানো হয়েছে কক্সবাজার সদরের উত্তরণ গৃহায়ণ সমবায় সমিতির সামনের রাস্তায়।
ভুক্তভোগী ফারুক হোসাইন জানান, আমার এলাকা কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং ২নং ওয়ার্ড এলাকার নুরুল আলমের ছেলে মোরশেদ আলম, গোলাম কুদ্দুসের ছেলে মাহমুদুল করিম ও জাবের আহমেদ এর ছেলে এনামুল হকের সাথে আঁতাত করে মুজিবুল হক আমার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছে। আমি অসহায় মানুষ এতো টাকা কই পাবো? আর কেনইবা চাঁদা দিবো? ইতোমধ্যে এ চক্র আমার সর্বস্ব লুট করে নিয়েছে। মুজিবুল হক আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আদালতের মাধ্যমে আমি নিরাপত্তা চাই। মিথ্যে মামলা প্রত্যাহার চাই।