প্রতিনিধি ১১ নভেম্বর ২০২৩ , ৬:৩২:২২ প্রিন্ট সংস্করণ
মু,হেলাল আহম্মেদ-স্টাফ রিপোর্টার:
পটুয়াখালীতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো,নাসির উদ্দিন খানঁ এর যোগ সাজসে বিএনপি তাদের অবরোধে মহাসড়কে গাছের গুড়ি কাঠ ফেলে আগুন জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ও জন মনে ভীতি- আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে বলে জানা যায়। বিএনপির এই চলমান আন্দোলনে ক্ষমতাসীন দলের ঐ নেতার যোহ সাজস থাকার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। সাত দিনের মধ্যে জবাব যে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছে।
এদিকে বিএনপি’র চলমান গত কয়েকদিনের হরতাল অবরোধ ও জ্বালাও পোড়ার বিরুদ্ধে সারাদেশের ন্যায় পটুয়াখালীতেও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা মাঠে সোচ্চার রয়েছেন। কুয়াকাটা – ঢাকা মহাসড়কের লেবু খালির পায়রা সেতু পর্যন্ত এলাকা সব ধরনের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সকল সহযোগী সংগঠন অব্যাহত মিছিল মিটিং ও শান্তি এবং উন্নয়ন সমাবেশ করে যাচ্ছে।ক্ষমতাসীন দলের এত মহড়ার পরেও বিএনপির অবরোধ সফল করতে মহা সড়কের বদরপুর মৌকরণ ও তেলীখালি এলাকায় কয়েকবার গাছের গুড়ি ফেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এতে যানবাহন চলাচলে বিঘ্নিত হয়।
এবং মানুষের মাঝে ভীতিও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।বদরপুর ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে ঢাকা – কুয়াকাটা মহাসড়কের বড় একটি অংশের অবস্থান থাকায় বিএনপি তাদের আনন্দোন সংগ্রামে বেছে নেয় এই এলাকা। বিগত ২০১৪ ও ১৮ সালেও ব্যাপক অগ্মি সন্ত্রাস করে মহাসড়কের এই অংশে। তখনকার সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক রাখতে ব্যাক পেতে হয় প্রশাসনকে। এই এলাকায় বিএনপির এসব আন্দোলন মোকাবেলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের তেমন কোন ভূমিকা নেই। আওয়ামী লীগ নেতাদের স্বজনরাই এখন সরকার বিরোধী আন্দোলন করছে বলে জানান স্থানীয়রা।
বদরপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে মহাসড়কের বড় একটি অংশ প্রবাহিত হওয়ায় সরকারের বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে সব সময় গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকা হলেও সেই বদরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাসির উদ্দিন খান এর ভাই, আত্মীয়-স্বজনরা বেশিরভাগ বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। তথ্যে উঠে এসেছে তারাই মহাসড়কের এসব এলাকায় গাছের গুড়ি ফেলে বিএনপির অবরোধে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।কিন্তু বিএনপির এই আন্দোলন মোকাবিলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তিনি নিজেই নিজে মাঠে নেই।
এসব অভিযোগ খোদ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে পটুয়াখালী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত একচিঠিতে তাকে শোকাজ করা হয়। সাত দিনের মধ্যে জবাব চেয়ে ৬ নভেম্বর স্বাক্ষরিত এক চিঠি ৯ নভেম্বর হাতে পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাসির উদ্দিন খান সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান। তিনি তার বিরুদ্ধে উপজেলা আওয়ামী লীগের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ আমি আফজাল ভাইয়ের রাজনীতি করি( কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল হোসেন )।আমি ওনাদের(সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক বিএম শাজাহান পারভেজ শাজাহান ভূইয়া )তাদের আমি নেতা হিসেবেই মানি না। আমি বিএনপি’র হরতাল অবরোধের বিরুদ্ধে মিছিল করেছি, আফজাল ভাইয়ের সাথে শান্তি সমাবেশে যোগদান করেছি,যার প্রমাণ আমার কাছে আছে। ওনাদের অভিযোগ সত্য না ভিত্তিহীন বলে জানান তিনি।