প্রতিনিধি ২ ডিসেম্বর ২০২১ , ৬:১২:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ
কবিতাঃ অপেক্ষার প্রহরে
কবি-শিহাব আহম্মেদ
কষ্টগুলি উড়িয়ে দিলাম আকাশে
কষ্টগুলি আজ ছড়িয়ে যাক বাতাসে
আসলে আসুক ঝড়, ভাঙুক হৃদয়
তবুও মানবতার কল্যাণের হোক জয়!
ইসলামের পথে বিধর্মীদের চির আঘাত
আজ নতুন কিছু তো নয় যুগ যুগ ধরে,
মরুক শিশু, মারুক নারী,করুক হত্যা-
কলেমার পতাকা পত্ পত্ করে উড়বে!
ইরাকের পর আফগানিস্তানের কান্না
আরাকানের পর দেখছি সিরিয়ার কান্না
চলছে কাশ্মীর আর চীনের উঁইঘরে কান্না
বিশ্বজুড়ে মুসলিমের থামছে নারে কান্না!
তোদের দেয়া কষ্টগুলি ছড়িয়ে যাক বিশ্বে-
কাঁপুক জমিন,কাঁপুক আকাশ,ভাঙুক বুক-
বিধর্মীরা করুক নৃত্য,হিন্দু-খ্রীস্টানরা মারুক
তবুও মুসলমানের কলেমার পতাকা উড়বে!
মুসলিম বোনের কান্না কারো কাছে পৌঁছে না..
মুসলিম মায়ের চিৎকার কোন সন্তান শুনেনা..
মুসলিম শিশুর ভয়ার্ত করুন আর্তনাদ শুনেনা..
মানুষের রক্তে মানুষরূপী জানোয়ারগুলো হাঁসে!
ভালবেসে মানুষ যারে দেবে মনে সুখের চাবি
সেই মানুষ দানবীয় রক্ত আর খুনে হইছে খাবি!
মুসলিম নয়, হিন্দু নয়,বৌদ্ধ নয়,খ্রীস্টান নয়..
লাল রক্তে এই বিশ্বের মানুষগুলো এক পরিচয়!
ওরে হিন্দুর ভাইয়েরা! কাশ্মীরে মারছ কেনো?
ওরে চীনের ভাইয়েরা! উঁইঘরে ধর্ষণ করছো?
ওরে ইহুদি ভাইয়েরা! ফিলিস্তিনে হত্যা করছো?
এই পৃথিবীর স্রষ্টা একদিন চামড়া তুলে নেবে!
আমার হয়ে না হয় তারা কষ্টগুলি মেটাক দাবী..
অসীম কোন যন্ত্রনা ফিলিস্তিনে হয়তো চেপে ধরে
এই ব্যথাটা নাহয় জম্মু কাশ্মীর উঁইঘরে ঝেপে ধরে
সিরিয়ায় বারেবারে মান ভাঙিয়ে অকারণে দুঃখ!
ওরে মুসলিম বুঝবে তুমি যন্ত্রনা কি? দলাদলি?
নিজেরা সুন্নী কীনা? দেওয়ানবাগী কীনা? পীর?
মাজার পূজারী কীনা? খারিজী কীনা? ফাসেক?
নিজেদের পীড়াপীড়িতে ইমান চুরি করে বিধর্মী?